দিনাজপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন অবনিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে ২৬৭ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার ভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দিনাজপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের হার ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৭ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ জনকে হাসপাতালে রেড জোনে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ২১২ জনকে স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে যার যার বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় ২ হাজার ৬৪৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দিনাজপুর সদরে সবচেয়ে বেশি ১৫৭ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের হার ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দিনাজপুর জেলা একটি সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলায় পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে সীমান্ত রয়েছে। জেলার প্রায় ১৫২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার এলাকায় নদী ও ১১টি গ্রাম সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে থাকায় উভয় দেশের জনসাধারণের চলাফেরা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে করোনাভাইরাস ডেল্টা ধরন সহজেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে সবশ্রেণির মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় হলরুম কাঞ্চনে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবিকে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থানের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।